ম্যাচ যখন পাকিস্তানে, তখন সেখানে রানের বন্যা চলছে। পেসারদেরই সেখানে রাজত্ব। কিন্তু ম্যাচ দুবাইয়ে তখন রাতারাতি বদলে যাচ্ছে চিত্র। সেখানে স্পিনাররাই ছড়ি ঘোরাচ্ছেন। চলতি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে এটাই ছিল নিয়মিত দৃশ্য। ভারত রীতিমত চার স্পিনারের ওপর ভর দিয়েই এগিয়ে নিয়েছে নিজেদের বোলিং আক্রমণ।
কিন্তু ফাইনালে এসে দুবাইয়ের পিচে খানিক ব্যতিক্রমী আচরণেরই যেন দেখা মিলল। সেমিফাইনালেও যে মাঠে গড়ে দেখা গিয়েছিল ২ দশমিক ৭ ডিগ্রি টার্ন। সেখানে ফাইনালে স্পিনাররা পিচ থেকে তেমন সাহায্যই পাননি। বিগ ম্যাচে এসে ভারতের ইনিংসে দেখা গেল মোটে ২ ডিগ্রি টার্ন।
চলতি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আসরে হাইব্রিড মডেলে ভারতের সব ম্যাচই হয়েছে দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। ঐতিহ্যগতভাবেই দুবাই স্পিনারদের রাজ্য। এই আসরের ভারতের সব ম্যাচেই মিলেছে যার প্রমাণ। আসরে দুবাইয়ের প্রথম ম্যাচে এখানে ৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি পর্যন্ত টার্ন বা সুইং পেয়েছিলেন বোলাররা। সেই ম্যাচ ছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে।
পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের পিচে ছিল ২ দশমিক ৮ ডিগ্রি টার্ন। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ছিল ৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি টার্ন। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেমিফাইনালের বিগ ম্যাচে গড়ে সুইং ছিল ২ দশমিক ৭ ডিগ্রি।
তবে পিচ থেকে সহায়তা খানিক কমে এলেও ভারতের বোলাররা ঠিকই ছড়ি ঘুরিয়েছেন নিউজিল্যান্ড ব্যাটারদের ওপরে। শুরুতেই আগ্রাসী সূচনা এনে দেয়া নিউজিল্যান্ডের রানের লাগাম একপর্যায়ে বেশ দারুণভাবেই চেপে ধরেছিল ভারতের স্পিন আক্রমণ। এমনকি প্রায় ১৫ ওভার নিউজিল্যান্ডকে থাকতে হয়েছে বাউন্ডারিবঞ্চিত।
শেষ পর্যন্ত মিচেল ব্রেসওয়েলের ঝড়ে কিউইরা তুলেছে ২৫১ রান। ২০১৩ সালের পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা ঘরে তুলতে ভারতের দরকার ২৫২ রান।